বন্ধুকে দেখে অশ্রুসিক্ত মাহবুব তালুকদার

পঁয়তাল্লিশ বছর একে অপরের সঙ্গে দেখা করলেন, একে অপরকে মিষ্টিও খাওয়ালেন রাজনীতিতে রহস্যপুরুষ বলে পরিচিত সিরাজুল আলম খান এবং আলোচিত ও সমালোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) লেখক ও রাজনৈতিক গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।

তিনি লেখেন, ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেক্রেটারি শেখ ফজলুল হক মনি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সিরাজুল আলম খান, কালচারাল সেক্রেটারি মাহবুব তালুকদার। মাহবুব তালুকদার আবার ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার এবং ছাত্রলীগের একুশে সংকলনের সম্পাদক। তার সঙ্গে দুজনের ‘তুই’ সম্পর্ক, শেখ মনি আর সিরাজুল আলম খান। ঘনিষ্ঠ বন্ধু তারা। শেখ মনি আর নেই। মাহবুব আর সিরাজ পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার ও কথা বলার আগ্রহ দেখালেন। আমি হলাম অনুঘটক। কাল বিকেলে মাহবুব তালুকদার আমার বাসায় এসে আমাকে তুলে নিয়ে গেলেন সিরাজুল আলম খানের কাছে। বন্ধুর জন্য বই আর ফল নিলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ও কি মিষ্টি খায়? বললাম, সব খায়। ডায়াবেটিস নেই। পথে পড়ল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। বন্ধুর জন্য কিনলেন সন্দেশ।

তিনি আরো লিখেন, সকালেই খবর দিয়েছিলাম, শেষ বিকেলে আমরা দুজন আসবো। ঘরে ঢুকেই দুজন দুজনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। ‘কীরে, কেমন আছিস’ বলে কথা শুরু। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দেখা হলো দু’জনার। তৈরি হলো এক আবেগঘন পরিবেশ। দুজন দুজনের মুখে সন্দেশ তুলে দিলেন। তারপর ঘণ্টাখানেক আড্ডা, কফি পান, স্মৃতিচারণ। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা- তাদের বন্ধুদের আর কে কে বেঁচে আছেন, কোথায় আছেন। আমি একটা অসম্ভব সুন্দর সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে থাকলাম।জানি না, তাদের দুজনের আবার দেখা হবে কিনা। দুজনেই আশি পেরিয়েছেন। ভগ্ন স্বাস্থ্য। ছলছল চোখে পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিলেন তারা।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.