অনিয়ম করে প্রার্থীদের নাম পাঠালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে অনিয়ম করে যারা প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বা পাঠাবেন, খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন, তাদের ভবিষ্যতে কোনো পদ-পদবি ও মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ।’

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ জানে, কারা বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। কথায় কথায় যারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, যারা বিদেশি দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে, তারাই বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দেশের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’

বিএনপিই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ও জাতির স্বার্থ বিসর্জন দেয় এবং বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে শেখ হাসিনা সবসময় আপোষহীন। যদি তিনি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব সমর্থন করতেন, তাহলে ২০০১ সালেও ক্ষমতায় আসতে পারতেন।’

বিএনপির গণআন্দোলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘জনগণ এখন তাদের এ গণআন্দোলনের আহ্বানের ডাক শুনলে হাসে। কারণ ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেয়নি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি একদিকে ভোটে আসবে না, আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবেন না। সংসদে তো বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছে। তাহলে একদলীয় শাসন হয় কীভাবে? বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে, যা করেছিল জাতি তা ভুলে যায়নি।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.