রিজেন্টের সাহেদ যে প্রতারক ছিল জানতাম না: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আবুল কালাম আজাদ আত্মসমর্পণ করে বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি কোনও অপরাধ করিনি, আর ভবিষ্যতেও করব না। রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদ যে প্রতারক ছিল ‑ তা আমার জানা ছিল না।

এরপর আবুল কালাম আজাদকে বিচারক প্রশ্ন করেন, সাহেদের সঙ্গে আপনার এতো মহব্বত কীভাবে হলো? জবাবে আজাদ বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের দিন সাহেদের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। এরপর সাহেদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সাহেদকে যে একজন প্রতারক তা আমি আগে থেকে জানতাম না।

এরপর তার আইনজীবীরা জামিন শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আবুল কালাম আজাদকে ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর একই আদালতে আবুল কালাম আজাদ আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু সেদিন বিচারক অন্য মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় স্বাস্থ্যের ডিজিকে অন্য কোনদিন আসতে বলেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচারক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

চার্জশিটভুক্ত অপর পাঁচ আসামি হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। দীর্ঘ এক বছর পর এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.