খুলনায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় আলোচিত ২২ কোটি টাকার কোকেন মামলার রায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার ছয় আসামি উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা দায়রা জজ আদালতের পিপি এনামুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রায়ে আসামি বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, ছগিরকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল, এরশাদ ও ফজলুর রহমান ফকিরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট রাত পৌনে ১০টার দিকে র‌্যাব-৬ খুলনার একটি দল নগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করলে সোহেল রানা নামের একজনকে আটক করে পালানোর কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, তার কাছে কোকেন রয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তারা তার কাছে দুইশ ৩০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে। যার অনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা।

পরে সোহেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গগনবাবু রোডের একটি বাড়ি থেকে কোকেন বিক্রির মূল হোতা আরিফুর রহমান ছগিরকে গ্রেফতার করা হয়। ছগিরের তথ্য মোতাবেক দাকোপ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ও ফজলুর রহমান ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে টুটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এস এম এরশাদ আলী এবং রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকার বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে গ্রেফতারের সময় তিনটি প্যাকেট কোকেন পাওয়া যায়। যার ওজন দুই কেজি ২০ গ্রাম। সোয়া দুই কেজি কোকেনের মূল্য ২২ কেটি ৫০ লাখ টাকা।

পরে র‌্যাব কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে রূপসা থানায় মাদক আইনে মামলা করেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.