দুর্গাপূজা: মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে আগামী ১১-১৫ অক্টোবর সারাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ পূজামণ্ডপে কিছু বিধিনিষেধ অনুসরণের অনুরোধ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়।

বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে—

(ক) পুরোহিত/ঠাকুর এবং উপস্থিত পূজারিদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

(খ) যেসব মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে সেসব মন্দিরের প্রবেশ পথে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া/হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করতে হবে।

(গ) ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন মন্দির, ঢাকাশ্বেরী মন্দির, জয়কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দিরসহ বড় বড় মন্দিরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনা করতে হবে।

(ঘ) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করতে হবে।

(ঙ) আজান ও নামাজের সময় মসজিদ পার্শ্ববর্তী মণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালে ও বিসর্জনকালে শব্দযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য এবং উচ্চস্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

(চ) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সব ধর্মীয় রীতি-নীতি, পূজা-অর্চনা, মাঙ্গলিক কার্যাদি, প্রতিমা বিসর্জনসহ অন্যান্য কার্যক্রম যথাযথভাবে প্রতিপালন করা যাবে।

উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী এবং পূজামণ্ডপ পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.