আত্মসমর্পণ না করে চলে গেলেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

দুদকের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। কিন্ত অন্য মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় জামিন শুনানি করতে পারেননি আদালত। তাকে অন্য কোনো দিন আসতে বলেন। এরপর স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদের আইনজীবী আত্মসমর্পণের আবেদন তুলে নেন। পরে তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদ।

করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতির মামলায় সম্প্রতি তিনিসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। চার্জশিটভুক্ত অপর পাঁচ আসামি হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখান থেকে তারা অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ সাড়ে ৮৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট তিন কোটি ৩৪ লাখ সাড়ে ছয় হাজার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.