মুমিনুল-মুশফিকের ব্যাটে জিতল বাংলাদেশ ‘এ’ দল

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ওয়ানডতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের বিপক্ষে ৩০ রানের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এই ম্যাচে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ‘এ’ দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মুমিনুল হক। এদিন সেঞ্চুরি না পেলেও মুশফিকুর রহিমও ছিলেন দুর্দান্ত।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে মুমিনুলের ১২৮, নাজমুল হোসেন শান্তর ৬৭, মুশফিকুর রহিমের ৬২ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ২৮ রানে ভর করে ৩২২ রান তোলে বাংলাদেশ ‘এ’। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে টপ অর্ডাররা স্বপ্ন দেখালেও মিডল ও লোয়ার অর্ডাররা ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৯২ রান তোলে এইচপি দল।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দেওয়া ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে এইচপি দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল টপ অর্ডাররা। এদিন ব্যাট হাতে ১০২ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ হাসান। ইনিংসটি খেলতে ৭টি চার ও দুটি ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রান পেয়েছেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেনও। ৫৮ বলে ৭টি চার ও চারটি ছয়ের মারে ৭৭ রান করেছেন তিনি।

এরপর তিনে নেমে মাত্র ৮ রান করে ফিরে যান শাহাদত হোসেন। এদিন এক রানের আক্ষেপে পুড়েছেন চারে নামা তৌহিদ হৃদয়। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার আগে ৫৬ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তৌহিদ ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরতে পারেনি কেউই। এরপর দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ রান তুলতে পেরেছেন আকবর আলী। এ দলের হয়ে রুবেল হোসেন তিনটি এবং নাঈম ইসলাম ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল ও শান্তর ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় ‘এ’ দল। ওপেনিং জুটিতে দুজনে মিলে গড়েন ১৫৪ রানের জুটি। ৩০তম ওভারে প্রথম বলে আমিনুলের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুমিনুল। সেঞ্চুরির পাওয়ার দিনে ১১টি চার ও ২টি ছয় হাঁকিয়েছেন তিনি।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও মুশফিক। পরে আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। এ দলের হয়ে রেজাউর রহমান সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিজের ঝুলিতে তোলেন রেজাউর রহমান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রুহেল মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও সুমন খান।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.