রোনালদোর শেষ মিনিটের গোলে ভিয়ারিয়ালকে হারালো ম্যানইউ

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে হলুদ কার্ড দেখলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে এই হলুদ কার্ডে আক্ষেপ ছিলো না একটুও, ছিলো পুরোটাই উদযাপন, শেষ মুহূর্তে দলকে জেতানোর আনন্দ, ঘরের মাঠের দর্শকদের অতি নাটকীয় এক জয় এনে দেওয়ার উচ্ছ্বাস।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত যোগ করা সময়ও প্রায় শেষের পথেই ছিলো। স্কোরলাইন তখনও ১-১। ঘরের মাঠে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। তখনই উদ্ধারকর্তা হিসেবে হাজির রোনালদো। তার শেষ সময়ের গোলেই পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে রেড ডেভিলরা।

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নেমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নতুন রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ১৭৮টি ম্যাচ খেলার একক কৃতিত্ব যে এখন এই পর্তুগিজ তারকার। রেকর্ডের রাতটি রোনালদো স্মরণীয় করে রেখেছেন দলকে জিতিয়ে। শেষ মিনিটে পেয়েছেন গোল। তাতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-১ গোলে হারিয়েছে ভিয়ারিয়ালকে।

এমনিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুরুটা ভালো হয়নি ওলে গানার সুলশারের দলের। ইয়াং বয়েজের কাছে হারতে হয়েছে। আর এবার ‘এফ’ গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচটি এলো প্রথম জয়। দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ ইংলিশ জায়ান্টদের।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বল দখলে এগিয়ে ছিল ম্যানইউ। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ বেশি পেয়েছে ভিয়ারিয়ালই। বিশেষ করে প্রতি আক্রমণে উঠে বার বারই স্বাগতিকদের রক্ষণে কাঁপন ধরিয়েছে।

যদিও শুরুতে সুযোগ পায় ম্যানইউ। ২ মিনিটে রোনালদোর পাসে ব্রুনো ফেরনান্দেজের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। এরপরে ভিয়ারিয়ালই প্রতিপক্ষের সীমানায় গিয়ে আতংক সৃষ্টি করেছে। বলতে গেলে বা দিক দিয়েছে একের পর এক আক্রমণ।

পুরো ম্যাচে প্রায় সমানে সমান লড়েছে দুই দল। গোলের জন্য ইউনাইটেড করেছে ১৪টি শট আর ভিয়ারিয়াল নেয় ১৫টি শট। যার মধ্যে দুই দলেরই সমান ৭টি করে শট ছিলো লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু গোল বেশি আদায় করে জয়ী দলের নাম ম্যানইউ।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য কোনো গোল হয়নি। প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ভিয়ারিয়াকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড পাকো আলকাসের। বাম দিক থেকে ডানজুমার ক্রসে আলতো টোকায় গোল করেন আলকাসের।

অবশ্য সাত মিনিটের বেশি টেকেনি ভিয়ারিয়ালের লিড। ম্যাচের ৬০ মিনিটের সময় ব্রুনো ফার্নান্দেসের ক্রস ডি-বক্সের বাইরে পান অ্যালেক্স টেলেস। বাম পায়ের জোরালো ভলিতে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার, সমতায় ফেরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

এরপর দুই দলই চেষ্টা করে দ্বিতীয় গোলের। কিন্তু কিছুতেই তা মেলেনি। ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গিয়ে অতিরিক্ত যোগ করার সময়ের পঞ্চম মিনিটে জেসে লিনগার্ডের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে অসাধারণ এক শটে দলকে জয়সূচক গোল এনে দেন রোনালদো।

গোলের পর উদযাপনে জার্সি খোলায় হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি রোনালদোর ১৩৬তম গোল। এই গোলের সুবাদেই চলতি মৌসুমে প্রথম জয়টি পেলো ম্যানইউ। দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এফ গ্রুপের ৩ নম্বরে রয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আটলান্টা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.