জাপানি বিনিয়োগের নতুন ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত

জাপানি কোম্পানিগুলো এশিয়ায় বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের নতুন ফ্রন্টিয়ার হিসেবে মনে করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক ডিজিটাল সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নতিতে ব্যাংকিং সহায়তা বিষয়ে সেমিনারটি সৌথভাবে আয়োজন করে ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এবং জাপান এক্সটারনাল ট্টেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)।

জাপানি রাষ্ট্রদূত আমদানি লেনদেন নিষ্পত্তিতে টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফারের সীমিত ব্যবহারকে বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তিতে টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার আজকাল একটি অতি প্রচলিত পদ্ধতি। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে বাংলাদেশের সংযুক্তির জন্য পদ্ধতিটিকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী শীর্ষস্থানীয় জাপানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সেমিনারটির লক্ষ্য ছিলো দেশে জাপানি বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং প্রোডাক্ট ও সেবা সম্পর্কে আলোচনা করা।

ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার জাপানকে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অভিহিত করে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে এদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান ব্যাংকিং চাহিদা মিটাতে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা দিতে ইস্টার্ণ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। এ প্রসংঙ্গে তিনি জানান, ইবিএল জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকিং চাহিদা মেটাতে এবং ওয়ান-স্টপ সেবা প্রদানে শীঘ্রই জাপান ডেক্স চালু করতে যাচ্ছে।

জেটরোর কান্ট্রি প্রতিনিধি ইউজি এনদো বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক বিরাজমান যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কোভিড-১৯ অতিমারিকালে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুরো সাপ্লাই চেইনে বিঘ্নজনিত জটিলতার শিকার হয়েছে। ঝুঁকি হ্রাসের জন্য তারা সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্রতা আনার কথা ভাবছে। জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনে বৈচিত্র আনার জন্য বাংলাদেশকে অন্যতম একটি সম্ভাব্য দেশ হিসেবে তিনি মনে করেন।

ইবিএল উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কর্পোরেট ব্যাংকিং প্রধান আহমেদ শাহিন জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উপযোগী বিভিন্ন ইবিএল সেবা ও অফারের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাব দেন।

বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক বিভাগ প্রধান হারুতা হিরোকি, ঢাকায় জাপান বাণিজ্য ও শিল্প সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিকারি কাওয়াকি, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সহ সভাপতি এস এম শরীফুল আলম প্রমুখ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.