সংসদের পর জার্মানির রাজ্য নির্বাচনেও এসপিডির জয়

সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির দুটি রাজ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া ও বার্লিন রাজ্যেও এসপিডি দল সরকার গড়তে চলেছে৷ ফলে সংসদের উচ্চ রক্ষে দলের শক্তি অক্ষত রইলো৷

জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দলের জয়জাত্রা শুধু বুন্ডেসটাগ নির্বাচনেই সীমাবদ্ধ নেই৷ সামান্য ব্যবধানে হলেও ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে এসপিডি দলের জয় হয়েছে৷ তবে ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের নেতা আরমিন লাশেট এখনো পরাজয় মেনে না নেওয়ায় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে৷ সমর্থনে বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও লাশেট সরকার গড়ার আশা ছাড়ছেন না৷

যে দলের নেতৃত্বেই নতুন সরকার গঠন করা হোক না কেন, ক্ষমতার নিরিখে এসপিডি দল সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত করেছে৷ জার্মানির সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্ডেসরাট ১৬টি রাজ্যের প্রতিনিধিদের মঞ্চ৷ সব গুরুত্বপূর্ণ আইন সেখানেও অনুমোদন করাতে হয়৷ ফলে যে দলের হাতে বেশিরভাগ রাজ্যের রাশ রয়েছে, সেই দলের জোর যথেষ্ট বেশি৷ রোববার উত্তর পশ্চিমের জনবিরল রাজ্য মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া এবং বার্লিনে এসপিডির জয়ের পর বুন্ডেসরাটে এসপিডি দলের ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রইলো৷

মুখ্যমন্ত্রী মানুয়েলা শ্ভেসিকের নেতৃত্বে জনবিরল রাজ্য মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়ায় এসপিডি দল প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশাল জয়ের মুখ দেখেছে৷ সেখানেও সিডিইউ দলের ভরাডুবি হয়েছে৷ প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের মুখ দেখেছে বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল৷

উল্লেখ্য, সেই রাজ্যেই ম্যার্কেলের এতকাল নির্বাচনি কেন্দ্র ও বাসস্থান অবস্থিত৷ এমন স্পষ্ট জয়ের পর এসপিডি জোট সরকার গড়ার একাধিক সুযোগ পাবে৷ রাজ্যের কাণ্ডারী হিসবে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমন জয়ের মুখ দেখে মুখ্যমন্ত্রী শ্ভেসিক গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷

বার্লিন রাজ্যের নির্বাচনে এসপিডি দলের জয়ের ব্যবধান অবশ্য খুব বেশি নয়৷ প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে শহরের শাসক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য ফ্রানৎসিস্কা গিফাই৷ এসপিডি দলের এই নেতাকে পিএইচডি থিসিসে অনিয়মের অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল৷ সবুজ দল প্রায় ১৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তার জয়কে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে৷ ফলে তাকে তিন দলের জোট সরকার গঠন করতে হবে৷ শুধ্যু লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে এসপিডি দলকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে৷

২০২২ সালে জার্মানির চারটি রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সিডিইউ নেতা আরমিন লাশেটের নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়াও তার মধ্যে রয়েছে৷ এসপিডি দলের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকলে এই রাজ্যও সিডিইউ-র হাতছাড়া হতে পারে৷ রোববারের সংসদ নির্বাচনে এসিপিডি নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে৷ ২০০৫ সালের পর এসপিডি এমন সাফল্য অর্জন করলো৷ উত্তরের শ্লেসভিক হলস্টাইন ও দক্ষিণের সারলান্ড রাজ্যেও ২০২২ সালে সিডিইউ পরাজয়ের মুখ দেখলে এসপিডি সংসদের উচ্চ কক্ষে নিজস্ব ক্ষমতা আরো জোরদার করতে পারবে৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.