কাঁচপুরে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক দফা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে ওপেক্স ও সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও ৬০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ সময় গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন ধরে বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তালবাহান করে আসছে। এছাড়া শ্রমিকদের অবসর সার্ভিসের টাকা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বাৎসরিক ছুটির টাকা, মৃত্যুজনিত এককালীন বীমার টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হলে তারা ছাঁটাইয়ের ভয়ভীতি দেখায়। গত বুধবার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে কারখানার গেটে নোটিশ টানিয়ে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা বিকালে মহাসড়কে নেমে অবরোধ করে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আন্দোলনের পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। পরে বৃহস্পতিবার একই দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। রাস্তার দুইপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ বলেন, সকালে তারা বিক্ষিপ্তভাবে সড়কে নেমে অবরোধের চেষ্টা করেন। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বড় এলাকা তো তারা বিভিন্নভাবে জড়ো হতে চেষ্টা করছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আগামী বুধবার পাওনা পরিশোধ করবে বলে সময় দিয়েছে। শ্রমিকরা সেটা না মেনে সড়কে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.