চলতি অর্থবছরে ৬.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

ম্যানুফ্যাকচারিং শক্তিশালীকরণ, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অব্যাহত সম্প্রসারণ এবং সরকারের কার্যকর পুনরুদ্ধারের নীতির ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫.৮ শতাংশ, ঘাটতি অর্থবছরে জিডিপির ০.৬ শতাংশ হবে। তবে অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি হলো করোনা ভাইরাস রোগের পুনরায় বৃদ্ধি।

এডিবি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপির ঘাটতি হবে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া করোনার প্রকোপ বাড়লে তা অর্থনীতির জন্য প্রধান ঝুঁকির কারণ হবে বলে উল্লেখ করেছে এডিবি।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান রক্ষা ও জীবন বাঁচানোর জন্য সরকারের নীতিগুলো বাংলাদেশের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে। সাম্প্রতিক কঠিন সময়ে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি বলে জানান তিনি।

মনমোহন প্রকাশ আরও বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা, দ্রুত টিকা দেওয়া ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের উন্নতি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

এডিবি বাংলাদেশে তার কর্মসূচির অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস করেছে। স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা ও গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশনের ওপর এডিবি জোর দিচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের প্রথম দিকে কোভিড -১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং জরুরি ব্যবস্থাপনার জন্য ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের। গত অর্থবছরে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.