সরকারের গাফিলতিতে ই-কমার্সের নামে টাকা লুট: রুমিন

সরকারের গাফিলতির কারণে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মতো প্রতিষ্ঠান ব্যবসার নামে প্রতারণা করে হাজার কোটি টাকা লুট করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, যারা টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের টাকা সরকারকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পরে সরকার ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে রুমিন এই দাবি জানান।

রুমিন ফারহানা বলেন, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ অনেকে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার সময়ই বোঝা গিয়েছিল তারা প্রতারণা করবে। তারা অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির অফার দিয়েছিল। প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করেছে। এখন হাজার কোটি টাকা নিয়ে তারা আর পণ্য দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, শুধু মানুষকে দোষ দিলে হবে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো গোপনে ব্যবসা করেনি। যে পরিামণ বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা ব্যবসা করেছে, তাতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এটি না জানার কথা নয়। তারা ক্রিকেট দলের স্পনসরও হয়েছিল।

অন্য সবকিছু বাদ দিলেও প্রতিযোগিতা আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ব্যবসা চলতে পারে না। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন রুমিন ফারহানা।

পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, অবৈধ ভিওআইপির ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কারণে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। মাসে ৩৭৫ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত টেলিটক। এ বিষয়ে তিনি জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন।

পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ তিনটি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারদলীয় হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেছিলেন, পরীমণির প্রতি বিএনপির হারুনের এত আগ্রহ কেন। তিনি এই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান। সংসদের আগামী অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন বলেও তিনি আশা করেন।

বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ বলেন, খালেদা জিয়া তার নেত্রী। সংসদে তার নেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যার মেগা প্রজেক্টে তিনি আনন্দিত হন। একইভাবে মেগা দুর্নীতি তাকে ব্যথিত করে। তিনি বলেন, গরিবদের জন্য করা ঘর ধসে পড়েছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এগুলো হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয়েছে। জি এম সিরাজ দাবি করেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন পরিচালক তাকে বলেছেন, এই বক্তব্যের পর দুদকের তদন্ত থেমে গেছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.