দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের বিসমিল্লাহ আ.লীগের হাতেই: রুমিন

দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের বিসমিল্লাহ এই আওয়ামী লীগের হাতেই হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, দুর্নীতিতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বলতে বড় ভালো লাগে। টকশোতে বলি, পার্লামেন্টে বলি, মিটিংয়ে বলি- শুনতেও বড় ভালো লাগে। একটু মনে করাই দেই টিআইবি দুর্নীতির রিপোর্ট প্রথম প্রকাশ করে ২০০১ সালে। তখন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বিএনপি ছিল ক্ষমতায়। তবে যে রিপোর্ট কার্ডটা প্রকাশিত হয়েছে সেই রিপোর্ট কার্ডের পরীক্ষা কিন্তু দেওয়া হয়েছে ২০০০ সালে।

আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট বিলের ওপর বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের জনমত যাচাইয়ের আলোচনার পরে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ দাবি করেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, ২০০০ সালে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ এবং তারা তখন দুর্নীতিতে বাংলাদেশের সূচক রেখে গিয়েছিল দশমিক নয় এবং এরপরে বিএনপি এসে ২০০১, ০২, ০৩, ০৪ ও ০৫ এ সেই সূচক বাড়াতে বাড়াতে ১ দশমিক ৪-এ নিয়ে যায়। তারপরে বিএনপি ২০০৬ সালে ক্ষমতা থেকে যায়। সুতরাং দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের বিসমিল্লাহ ওই আওয়ামী লীগের হাতেই হয়েছিল।

বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, যে কারণে এখন কয়েকগুণ বেশি দামে মহাসড়ক নির্মাণ দেখি। বিদ্যুৎ খাতে ৬২ হাজার কোটি টাকা এক মেগাওয়াট উৎপাদন না করেও শুধুমাত্র ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ দিতে দেখি। আমরা ৩৭ লাখ টাকা দিয়ে পর্দা কিনতে দেখি। আমরা অবিশ্বাস্য দামে বই আর ক্যানোলা কিনতে দেখি। এই সরকার তো সেই সরকার যারা দুর্নীতিতে বিসমিল্লাহ করে গিয়েছিল।

রুমিন ফারহানা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আজকে খুব খুশি দেখলাম। ওনার খুশি দেখে আমরাও খুশি। আমার হঠাৎ করে মনে পড়ল কয়েকদিন আগে বা কয়েক মাস আগে একটা বিজ্ঞাপন ছেপেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে ৩ হাজার টাকা করে কেনা হয়েছে প্রতিটি টিকা। সেখানে উপহারের টিকা মিলিয়ে হিসাব করলে সেটা ৩ হাজার টাকা হয়।

যদি উপহারের টিকা বাদ দেই তাহলে প্রতিটি টিকার মূল্য দাঁড়ায় ১৬ হাজার টাকা। আজকে উনি যে পরিসংখ্যান দিলেন সেটা গাঁজাখুরি কি-না আমি ঠিক জানি না। কারণ একবার তো আমাদের চুন খেয়ে মুখ পুড়ে গেছে আরেকবার এই পরিসংখ্যান ওনার মুখে শুনতে একটু ভয়ই লাগে, যোগ করেন রুমিন ফারহানা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.