আদালতে হাজিরা দিলেন পরীমনি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে তিনি হাজিরা দেন। এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে মাদক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে পরীমনি ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পৌঁছান। হাজিরা শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি আদালত ত্যাগ করেন।

গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন পরীমনি।

এছাড়া গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেদিন রাত আটটা ১০ মিনিটের দিকে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। এরপর তাকে ৩ দফায় মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ২ দিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। তিনি বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.