কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের ওপর চাপ বাড়ছে

চলতি বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, নতুন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী দেশগুলোর ওপর সেগুলো বন্ধে চাপ বাড়ছে।

বিশ্বের পরিকল্পনাধীন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ৮০ শতাংশই হচ্ছে ছয়টি দেশে। দেশগুলো হলো— বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্ক।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে ১ থেকে ১২ নভেম্বর ‘কপ২৬’ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বনেতারা। নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাকারী দেশগুলোকে প্রকল্প বন্ধে রাজি করাতে পারলে ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পাঠানো’ লক্ষ্যে সম্মেলনের আয়োজকেরা অনেকটা এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।

২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির ফলে বিশ্বব্যাপী প্রস্তাবিত কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৬ শতাংশ কমেছে। এ পর্যন্ত ৪৪টি দেশ তাদের নতুন কয়লাবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র বন্ধে সম্মত হয়েছে। ইথ্রিজি নামের একটি থিংক-ট্যাংক প্রতিষ্ঠান আজ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে।

তবে, এখনও কয়লাবিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্রে রয়েছে এশিয়া। বাংলাদেশ, চীন, ভারতসহ ছয়টি দেশ চাইলে গোটা বিশ্বের নির্মিতব্য কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পাঁচ ভাগের চার ভাগই কমিয়ে আনতে পারে।

ইথ্রিজি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধু চীনেই গোটা বিশ্বের ৫৩ শতাংশ নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবস্থান। যদিও চীন ২০১৫ সালের জলবায়ু চুক্তির পর থেকে চীন তাদের পরিকল্পনাধীন কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৪ শতাংশ কমিয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি উপাদানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষণ ছড়ানো কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনতে চাইছেন জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের কর্মীরা।

ইথ্রিজি’র সহযোগী পরিচালক ক্রিস লিটলকট বলেন, কয়লার অর্থনীতি নবায়নযোগ্য শক্তি উপাদানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দিনকে দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে জায়গা দখল হয়ে থাকে— এই দুশ্চিন্তাও কাজ করে।

গ্রিনপিস ইস্ট এশিয়া’র বেইজিংভিত্তিক উপদেষ্টা লি সুয়ো বলেন, একমাত্র চীনই এখনও নিজ দেশের বাইরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.