জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য হাসপাতাল: হাইকোর্ট

জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে কোনো হাসপাতাল অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুমূর্ষু রোগীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আদেশে হাইকোর্ট বলেন, কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে যখনই হাসপাতাল বা ক্লিনিক অথবা চিকিৎসকদের নিকট আনা হয়, উক্ত অসুস্থ ব্যক্তির তাৎক্ষণিক জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারবে না। যদি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এরূপ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা না থাকে, সেক্ষেত্রে জরুরি সেবাসমূহ বিদ্যমান রয়েছে এমন নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে প্রেরণ করতে হবে।

সব বেসরকারি-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা, জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ রয়েছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পৃথক তালিকা এবং সেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত বিবরণসহ একটি তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

একইসঙ্গে, দেশে বিদ্যমান সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ প্রয়োজন বিশেষে যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে অসম্মতি জ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

যদি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকে, সেক্ষেত্রে জরুরি সেবা রয়েছে, নিকটস্থ এমন কোনো হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে কেন পাঠানো হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু করার সময় এবং বিদ্যমান রেজিস্টার্ড হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান বিভাগ আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান থাকতে হবে- শর্ত যুক্ত করে দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.