৪৯ ‘গায়েবি’ মামলার নেপথ্যে রাজারবাগের পীর, হাইকোর্টের অসন্তোষ

রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে এসব ভুয়া মামলার নেপথ্যে রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমানের নাম উঠে এসছে তদন্তে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পক্ষ থেকে হাইকোর্টে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার নেপথ্যে পীরের কারসাজির তথ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

খুন, ধর্ষণ ও মানবপাচারের অভিযোগে করা ৪৯ গায়েবি মামলার বাদীকে খুঁজে বের করা সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনায় করা সিআইডি প্রতিবেদনের ওপর আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদুল হক বসির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়।

এর আগে গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রতন কৃঞ্চ নাথ।

এ বিষয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুন থানায় বা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করলে অভিযোগ দায়েরকারীর এনআইডি দেওয়া বাধ্যতামূলক বলে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে ৬০ দিনের মধ্যে ৪৯ মামলার ঘটনা তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ডাকাতিসহ নানান অভিযোগে রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ‘অস্তিত্বহীন’ বাদীর করা ৪৯ মামলায় প্রতিকার চেয়ে করা রিট শুনানিতে হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওইদিন আদেশের পর আইনজীবীরা জানান, যেকোনো মামলা বা অভিযোগ করার ক্ষেত্রে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি লাগবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে ৬০ দিনের ৪৯ মামলার ঘটনা তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.