বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে সরকার

বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে সরকার। জরুরি ভিত্তিতে ই-মেইলের মাধ্যমে এই তথ্য পাঠাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে সকল আঞ্চলিক পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মাহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এই নির্দেশনা দেন।

মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মাহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বন্যাকবলিত বিদ্যালয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বন্যাকবলিত এলাকার কোনও প্রতিষ্ঠানে যদি সমস্যা না থাকে, সেখানে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। এছাড়া কোনও বিদ্যালয়ে যদি আশ্রয়কেন্দ্র করা হয় এবং সেখানে মানুষজন আশ্রয় নেন, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।

বুধারের (০৮ সেপ্টেম্বর) নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বর্ষার অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে পানি নেমে আসায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

এমতাবস্থায় জেলা ও উপজেলায় কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত থাকলে এবং শিক্ষার্থীরা বন্যাকবলিত এলাকায় থাকলে, তার তথ্য নির্ধারিত ছক অনুযায়ী ‘মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের’ মেইলে (reopen.mew@gmail.com) পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।

নির্ধারিত ছকে বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও মোট সংখ্যা, শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব, আংশিক সম্ভব, নাকি সম্ভব নয়— তা উল্লেখ করতে হবে। তথ্য পাঠাতে হবে জেলা ও উপজেলাওয়ারি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.