তালেবানের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ম্যার্কেল

আফগানিস্তানে আটকে থাকা নাগরিকদের উদ্ধার করতে তালেবানের সঙ্গে কথা বলতে চান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল। তিনি বলেছেন, ‘আমি তালেবানের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনার পক্ষপাতী। কারণ আফগানিস্তান বিষয়ে এখন তাদের সঙ্গেই কথা বলতে হবে।’

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) জার্মানির হাগেন শহরে গিয়েছিলেন ম্যার্কেল। বন্যায় প্রভূত ক্ষতি হয়েছে শহরটির। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আফগানিস্তান বিষয়ে এ মন্তব্য করেন চ্যান্সেলর। তার স্পষ্ট বক্তব্য, আফগানিস্তানে যারা জার্মান সরকার অথবা জার্মান সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তাদের দ্রুত দেশ থেকে বার করে আনা দরকার। এদের মধ্যে অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছেন। অনেকে প্রাণের ভয়ও পাচ্ছেন। এদের সকলকেই আফগানিস্তান থেকে বের করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ম্যার্কেল। এবং সে কারণেই তিনি তালেবানের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় আগ্রহী।

এই আলোচনার মাধ্যমে জার্মানি কি তালেবান সরকারকে মান্যতা দেবে? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব দেননি ম্যার্কেল। বরং বলেছেন, জার্মানিতে আটকে থাকা মানুষদের দ্রুত উদ্ধার করাই এখন প্রথম কাজ।

এদিকে জার্মানির সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায় তালেবানও। রোববার তালেবান মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, তারা জার্মানির সঙ্গে শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক চায়। এবং তার জন্য তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ম্যার্কেল অবশ্য কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে তার অভিমত জানাননি।

তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, তালেবান যদি মানবাধিকার, নারীদের অধিকারের মতো বিষয়গুলোকে মর্যাদা দেয়, তাহলে কাবুলে ফের জার্মান দূতাবাস খোলা হবে। কিন্তু তা কবে হবে, সে বিষয়ে তিনি নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেননি। তবে মাস এবং ম্যার্কেল দুইজনেই কাবুল বিমানবন্দর নতুন করে খোলার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.