পাঞ্জশির দখলের দাবি তালেবানের, অস্বীকার এনআরএফের

আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জশিরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। গত কয়েকদিন ন্যাশনাল রেসিসটেন্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তানের (এনআরএফ) সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের পর এবার সেখানেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছে তালেবান। তবে তালেবানের এই দাবি অস্বীকার করেছে এনআরএফ।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘এই জয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশ সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধের জঞ্জাল মুক্ত হলো।’ খবর- রয়টার্সের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা প্রাদেশিক গভর্নরের বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। গত কয়েক দিন থেকেই সেখানে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছিলো।

এদিকে গতকাল তালেবানের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে থাকা এনআরএফ’র মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি নিহত হন। তার জায়গায় নতুন মুখপাত্র মনোনীত হয়েছেন আলি মাইসাম। তালেবানের পাঞ্জশির দখলের দাবি অস্বীকার করে আলি মাইসাম বলেন, ‘এটা সত্য নয়, তালেবান পাঞ্জশির দখল করেনি। আমি তালেবানের দাবি প্রত্যাখ্যান করছি।’

রোববার রাতে ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ঘোষণায় এনআরএফ নেতা আহমেদ মাসুদ জানান, তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তিনি প্রস্তুত। দেশের শীর্ষ আলেমদের দেওয়া এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাবে নিজের সম্মতির কথা জানান তিনি। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তালেবান মুখপাত্র বলেন, এখন আর আলোচনার সময় নেই। শুরুতে প্রস্তাব দেয়া হলেও বিরোধী গোষ্ঠী তা মানেনি।

এছাড়া হেলিকপ্টার থেকে হামলার পর আরেক বিদ্রোহী নেতা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহকে নিজ বাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। দৃশ্যত যুদ্ধে অনেকটা কোণঠাসা আহমেদ মাসুদ শান্তি আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

গত ১৫ আগস্ট বাকি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিলেও পাঞ্জশির দখলে নিতে পারেনি তালেবান। দেশটির সর্বশেষ এই অঞ্চলটি এতদিন তালেবানের বেদখলে ছিল। আহমেদ মাসুদের ন্যাশনাল রেজিসট্যান্স ফোর্স (এনআরএফ) এর হাতে ছিল এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.