গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ মঙ্গলবার থেকে

দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ আগামী মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হবে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ৭ থেকে ১২ আগস্ট যে ক্যাম্পেইন হয়েছিল, সেই ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। একইভাবে, একই কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। যারা ক্যাম্পেইনের সময় যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেই কেন্দ্রে এসে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করবেন।

ডা. শামসুল হক বলেন, সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রথম দুই ঘণ্টা সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আগেরবার আনা ভ্যাকসিন কার্ড এবারও সাথে আনতে হবে। ক্যাম্পেইনের জন্য যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আমাদের প্রয়োজন সেটা আমরা জেলা-উপজেলায় পৌঁছে দিয়েছি। দ্বিতীয় ডোজের ক্যাম্পেইন চলাকালে কেন্দ্রগুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের নিয়মিত টিকাদান চলবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য আমরা একটি ব্যবস্থা করতে পেরেছি, এসএমএস না পেলেও তারা নিবন্ধিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। তবে এএনসি কার্ড বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্র, যাতে উল্লেখ থাকবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা‑ সেটি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। স্তন্যদানকারী নারীরাও এসএমএস ছাড়াই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজকল্যাণ অধিদফতর থেকে দেওয়া সুবর্ণ কার্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন করে যেন টিকা নিতে পারেন সে চেষ্টা আমরা করছি। নতুন একটি উইন্ডো হবে যেখান থেকে প্রতিবন্ধীরা টিকা নিতে পারবেন। তবে সব ক্ষেত্রেই এখন পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এবং জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউজিসির মাধ্যমে তালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তারা অনেকেই টিকা নিয়েছেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা যেন জন্ম সনদ ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টা করছি। তবে সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খুব তাড়াতাড়ি এই সুযোগটা আমরা দিতে পারবো বলে আশা করি— বলেন শামসুল হক।

বুলেটিনে অংশ নিয়ে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অনেকখানি কমেছে। গতকাল ১০ শতাংশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে, সেটি আমাদের জন্য স্বস্তির সংবাদ। যেভাবে সংক্রমণের রাশ টেনে ধরা হয়েছে, সেটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আশা করতে পারি সেপ্টেম্বরে রোগীর সংখ্যা কমে আসবে। যদিও সংক্রমণের হার কমে এসেছে তবে এখানে আমাদের আত্মতুষ্টির কোনও অবকাশ নেই।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.