শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুলতে বিকেলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি শেষ হচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর। এরপর স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক বসছে। বৈঠকের পর এ বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরার কথা রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে খোলা হবে তা রোববার বিকেল ৩টায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্কুল-কলেজ খোলার পর কী কী করণীয় হবে সেসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে, সেই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বৈঠকে আমরা তা উপস্থাপন করবো। এসব পরিকল্পনা আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সব সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও খোলার পর দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও অনুসরণ পদ্ধতি প্রণয়ন, এসএসসি-এইচএসসি-সমমান পরীক্ষাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পর্যায়ের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বিকেল ৩টায় এ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মতামত দিয়েছে। বর্তমানে এ হার ১০ শতাংশে নেমেছে। বিষয়টিকে বিবেচনা করে চলমান ছুটি আর বৃদ্ধি না করে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে।

জানা গেছে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হলেও শুরুতে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন করে ক্লাস নেওয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস হবে। একটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তিনটি কক্ষে বিভাজন করে ক্লাস নেওয়া হবে। এছাড়াও প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির সপ্তাহে একদিন আর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করানো হবে।

উল্লেখ‌্য, ২০২০ সালে ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে দেশের সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর গত ১৭ মাসে মোট ২২ দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ মে ও ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। সবশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.