নালায় পড়ে যাওয়া সেই ব্যক্তি উদ্ধার হয়নি এক দিনেও

চট্টগ্রাম নগরের চশমা খালে পড়ে নিখোঁজ পথচারী ছালেহ আহমেদকে (৫০) এক দিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারের জন্য খালের বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় পা পিছলে চশমা খালে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যান ছালেহ আহমেদ। টানা বৃষ্টিতে গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বেশির ভাগ এলাকা ডুবে যায়। অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার কারণে খাল, নালা ও রাস্তা একাকার হয়ে যায়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ ভেসে উঠতে পারে। তাই নজর রাখা হয়েছে।

ছালেহ আহমেদের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ার মনসার টেক এলাকায়। নগরের চকবাজারে তিনি সবজির ব্যবসা করতেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি দরবার শরীফে যাচ্ছিলেন।

বাস ধরতে পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর পুলিশ বক্স এলাকায় এলে হঠাৎ করে পড়ে যান একটি নালায়। তীব্র স্রোতে মুহূর্তেই তলিয়ে যান। এরপর থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের ডুবুরি দল ও রেসকিউ টিমের ছয় সদস্য উদ্ধার কাজ চালান।

ছালেহ আহমেদের ছেলে মাহিন জানান, তার বাবা চকবাজারে সবজি বিক্রি করেন। সকালে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে যেতে বের হন তিনি। এর মধ্যেই তিনি হঠাৎ করে নালায় পড়ে তলিয়ে যান। বাবার কোনো হদিস না পেয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি করতে দেখা যায় মাহিনকে।

নগরে জলাবদ্ধতার সময় ছয় বছর ধরে নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন মারা যান গত ৩০ জুন। ওই দিন নগরের মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.