যে কারণে পদ্মা সেতুতে সাইকেল ও পায়ে হাঁটার লেন নেই

দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় পদ্মা সেতু পারাপারে সাইকেল ও পায়ে হেঁটে চলাচলের কোনো লেন রাখা হয়নি। তবে, সিএনজি চলতে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহমেদ আহসান উল্লাহ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতুতে দুই চাকার যানের মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের অনুমতি আছে। সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা লেন দরকার। যা ডিজাইন অনুযায়ী নেই। সাইকেল লেন না থাকার পেছনে নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত।

তিনি আরও বলেন, সড়কপথে পায়ে হেঁটে চলার সুযোগ নেই। রেলপথে শুধু রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারবে। সেতুর এক নম্বর পিলার ও ৪২ নম্বর পিলারে ওঠা-নামার জন্য সিঁড়ি রাখা হবে, যা কেবল সেতু সংশ্লিষ্টদের কাজে ব্যবহৃত হবে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (সড়ক) সৈয়দ রজব আলী বলেন, অনেক দ্রুতগতিতে সেতুতে যানবাহন চলাচল করবে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাইকেল ও পায়ে হেঁটে চলাচলের লেন রাখা হয়নি। এটা যমুনা সেতুতেও নেই। তবে সেতু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিতরা সেতুর উপরে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, রিকশা-ভ্যানও সেতুতে চলাচল করবে না। সিএনজি চলবে কিনা এটি সরকারের সিদ্ধান্ত।
সৈয়দ রজব আলী আরও বলেন, পদ্মা সেতুর দুপ্রান্তে দুটি থানা স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উপর যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে সিসি ক্যামেরার সহায়তায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.