অ্যালেন-সিয়ার্সের গল্প শুনিয়ে বাংলাদেশকে নিউজিল্যান্ডের হুমকি

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে নেই তাঁদের বিশ্বকাপ দলের কোনো সদস্য। দ্বিতীয় সারির এই কিউই দলে সুযোগ পেয়েছেন ফিন অ্যালেন, বেন সিয়ার্সের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ইতোমধ্যেই অভিষেক হয়েছে অ্যালেনের।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করার যথেষ্ট সুযোগ না পেলেও ব্যাট হাতে ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। বোলিংয়ে গতিময় বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে পটু সিয়ার্স। সফরে আসার আগে তাঁদের দুজনের শক্তির জায়গায় কথা বলে বাংলাদেশকে খানিকটা ‘হুমকি’ দিয়ে রাখলেন রাচিন রবীন্দ্র।

অ্যালেনের ব্যাটিং সামর্থ্য প্রসঙ্গে রাচি বলেন, ‘আমি অ্যালেনের বিপক্ষে ও একই দলে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি এবং আমি তার সঙ্গে ব্যাটিং উপভোগ করি। সে বর্তমান বিশ্বের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের অন্যতম একজন। তার ব্যাটিং দেখতে সত্যিই অবিশ্বাস্য। বিশেষ করে সুপার স্ম্যাশ ক্যাম্পেইনে সে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তা মনমুগ্ধকর ছিল।’

নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং ইউনিট বরাবরই বেশ সমৃদ্ধ। এই সিরিজে কাইল জেমিসন, ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিরা না আসলেও বাংলাদেশের বিপক্ষেও তাদের শক্তির বড় জায়গা কিউই পেসাররা। যেখানে নতুন সেনসেশন সিয়ার্স। তার দুর্দান্ত গতি ভোগাবে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের।

সিয়ার্সের বোলিংয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সিয়ার্সকে নেটে খেলতে হলেও আপনাকে প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে হবে। সে যুব দল থেকেই দারুণ গতিতে বল করে আসছে। আমি ইতিমধ্যে অনেকবার তার মুখোমুখি হয়েছি। সে অবশ্যই এখানে ভাল কিছু করবে। ‘

অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রবীন্দ্র আরও বলেন, ‘সে নিয়মিত গতিতে বল করে। কখনো কোনো ম্যাচে তার বিরুদ্ধে লম্বা সময় ব্যাট করিনি কিন্তু নেটে তাকে খেলতে গিয়ে অবাক হয়েছি, সে সত্যিই গতিময় বোলার। তাকে স্কোয়াডে রাখায় সবাই উচ্ছ্বসিত, এটি খুবই ভালো।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.