শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে নিষ্ক্রিয়তা কেন: হাইকোর্ট

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দশম শ্রেণির ১৬ বছর বয়সী কিশোর আজওয়াদ আহনাফ করিম বুলিংয়ের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জেলা শিক্ষা অফিসারকে উক্ত ঘটনার তদন্ত করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং খামখেয়ালিপনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি বুলিং রোধে কেন নীতিমালা তৈরি করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ আদেশের নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহমেদ।

এর আগে গত ৮ জুলাই ‘মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে বিবিসি বাংলায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছে, স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিয়িংয়ের শিকার হবার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট কয়েক হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন, যাদের প্রায় সবাই বডিশেমিং, বুলিয়িংয়ের মতো ইস্যুতে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কিশোরের বাবা মো. ফজলুল করিম হানান, তার ছেলের ওজন স্বাভাবিকের চাইতে বেশি হবার কারণে, স্কুলে তাকে প্রায় নিয়মিতই বুলিয়িং ও উপহাসের শিকার হতে হতো। কিন্তু স্কুলে কখনো এ নিয়ে অভিযোগ জানাননি তারা। এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ জানাতে চান না তারা। তবে পরিবার চায় স্কুলে বুলিয়িং বন্ধ করার জন্য যেন সরকার ব্যবস্থা নেয়।

পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি একটি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়। তবে সে নোটিশের পর কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.