জামিন চান না কেন, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি: আইনজীবীকে পরীমণি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম।

শনিবার দুপুরে আদালতে শুনানির সময় ৫ মিনিট বিরতি দেওয়া হয়।  বিরতির মধ্যে নায়িকা পরীমণি তার আইনজীবীদের ডেকে রেগে গিয়ে বলেন, আপনারা আমার জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি। আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? আমি তো পাগল হয়ে যাব? আপনারা বুঝতেছেন আমার কী কষ্ট হচ্ছে?

এর আগে পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হলেও তার আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করেননি। শুনানিতে এ নায়িকার আইনজীবী আদালতকে বলেন, আমরা আজকে জামিন শুনানি করছি না। আমরা একটা আবেদন জানাই, আমাদের পরীমণির সঙ্গে কথা বলতে চাই। ৫ দিন চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।

এসময় আদালত আবেদনের বিষয়ে আদেশ না দিয়ে ৫ মিনিটের বিরতি নেন। পরে আদালত এসে জানান পরীমণির আইনজীবীর আবেদন না মঞ্জুর করা হল।

তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর পরীমনিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বিপুল মাদকসহ গ্রেফতার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এরপর গত ৫ আগস্ট তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে গত ১০ আগস্ট বনানী থানার মামলায় পরীমনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ড দেন। সে দিনই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রিমান্ড কার্যকর করতে পরীমনিকে নিয়ে যায়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.