৪ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি

বেসরকারিভাবে প্রথম দফায় চার লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

গত ১৮ আগস্ট এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল তিন লাখ ৬২ হাজার টন এবং আতপ চাল ৫৬ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।

চাল আমদানি শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অনেকদিন ধরেই চালের বাজার অস্থিতিশীল। বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজিপ্রতি দাম ৫০ টাকার কাছাকাছি। চিকন চালের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

এই প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এই সুবিধা আগামী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

কমানো শুল্ক হারে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে। এর আগে গত বছর দাম বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে ও আমদানি উৎসাহিত করতে চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশে নামানো হয়, যার মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.