ঘর সাজাতে কুশন

ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কুশনের ভূমিকা অপরিসীম। বসার ঘর কিংবা শোবার ঘর দুটোতেই সমানতালে কুশনের ব্যবহার দেখা যায়। রঙিন কুশন যেমন সোফাতে সুন্দর দেখায়, তেমনি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। তাই ঘরের সৌন্দর্য বর্ধনে কুশনের ভূমিকা অন্যসব উপাদানের চেয়ে কম নয়।

কুশন তৈরিতে তুলা, লিনেন ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়। উভয়েই বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া অনেকে ফোমের কুশন ব্যবহার করেন। তুলনামূলকভাবে ফোমের কুশন তুলা বা লিনেনের কুশন থেকে সস্তা। তবে তুলা বা লিনেন প্রাকৃতিক তন্তু। তাই যাদের স্কিনের নানা সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি নির্ভেজাল একটি পছন্দ।
কুশনের সঙ্গে সঙ্গে কুশন কভারও বেশ গুরুত্ব বহন করে থাকে। সোফার কভারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নানা ধরনের কুশন কভার ব্যবহার করা যেতে পারে; যা পুরো ঘরেই বৈচিত্র্য এনে দিতে পারে। নকশার দিকে লক্ষ্য করলে দুই ধরনের কুশন কভার এখন বেশ জনপ্রিয়। প্রিন্টেড বা এমব্রয়ডারি করা। আজকাল ঘর সাজাতে ডিজিটাল প্রিন্টের কুশন কভার ব্যবহার করছেন অনেকেই। কাশ্মীরি, গুজরাটি ইত্যাদি স্টিচের ওপর ফুলেল নকশার কুশন কভার বেশ ভালো লাগে। এ ছাড়া বোল্ড সলিড, জিওমেট্রিক প্রিন্ট, পেজলি প্রিন্ট, ফ্লোরাল মোটিফ, লিভিং মোটিফ ইত্যাদি প্রিন্টের কুশন কভারও ব্যবহার করতে পারেন ঘরের সাজে অভিনবত্ব আনতে।

দরদাম

শপিংমল অনুযায়ী কুশন বা কুশন কভারের দাম নানা রকমের হতে পারে। তার ওপর আবার নানা ধরনের কোয়ালিটি তো রয়েছেই। তবে একটি ধারণার জন্য এবার কিছু কুশনের দাম সম্পর্কে জানা যাক। প্রতিটি লিনেন বা তুলার ১৪/১৪ ইঞ্চি কুশনের দাম প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মতো। তবে একটি ফোমের কুশন প্রায় ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ১৮/১৮ ইঞ্চির তুলা বা লিনেনের কুশনের দাম সেই ক্ষেত্রে কুশনপ্রতি ৩৫০ থেকে শুরু করে ৪৫০ টাকা। অন্যদিকে ডিজাইন বা কাপড়ের কোয়ালিটি অনুযায়ী কুশন কভারের দাম ১০০ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকাও হতে পারে। তবে ক্রেতা একসঙ্গে বেশ কয়েক জোড়া কুশন বা কুশন কভার কিনলে তাতে বিক্রেতা ছাড় দিয়ে থাকেন।

টিপস

১. বিভিন্ন ধরনের কুশন কভার ব্যবহার করলে যেমন একঘেয়েমি কম লাগে, তেমনি কুশন পরিস্কার-পরিচ্ছন্নও থাকে। তাই চেষ্টা করুন বিভিন্ন ধরনের কুশন কভার ব্যবহার করতে এবং প্রতি সপ্তাহে তা পরিবর্তন করার। ছয় মাস পরপর কুশন কভার পরিস্কার করা উচিত। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কভারের কাপড়ের বিষয়ে। সিনথেটিক কভারে সাবানের বদলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। সুতির কাপড় হলে শ্যাম্পুর সঙ্গে হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

২. বছরে দু’বার কুশন কভার খুলে রোদে শুকাতে দিন। এতে জীবাণু সংক্রমণ কমে যায়।

৩. কখনোই বালিশ কিংবা কোলবালিশ হিসেবে কুশন ব্যবহার করা যাবে না। এতে কুশনের আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়।

৪. কুশন পানি পড়ে ভিজে গেলে সেটা তখনই শুকিয়ে নেওয়া ভালো। এতে ভেতরের তুলা বা ফোম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৫. কুশন কভার তৈরির সময় সামান্য একটু জায়গা ছেড়ে রাখুন। যাতে করে কভার পরিবর্তনের সময় কভার ছিঁড়ে না যায়।

৬. কুশনের ফোলা ভাব কমে গেলে বাড়তি তুলো ভরে নিন। কুশন কভারে বিডস, কাচ বা অ্যাপেকের কাজ থাকলে ড্রাই ওয়াশ করুন। কুশন ফেদারের হলে ড্রাই ক্লিন করুন। ফেদারের কুশন ভ্যাকুয়াম ক্লিন করবেন না। এতে ফেদার নষ্ট হয়ে যাবে। পলিয়েস্টার প্যাডের তৈরি কুশন বাড়িতেই পরিস্কার করে নিতে পারেন।

অর্থসূচক/এসএ/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.