গার্ড অব অনারে নারীকে বাদের সুপারিশ থেকে সরলো সংসদীয় কমিটি

মৃত্যুর পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার সময় নারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সুপারিশ থেকে সরে এসেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

আজ রোববার (০৮ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২০তম বৈঠকে এ সুপারিশ বাদ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৩ জুন মৃত্যুর পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার থেকে নারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। এজন্য যেসব এলাকায় নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রয়েছেন সেখানে বিকল্প খোঁজার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। ফলে তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়ে সংসদীয় কমিটি। এমনকি সংসদ অধিবেশনেও এ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিও ওঠে সংসদে।

ওই সুপারিশ করার ব্যাখ্যায় তখন কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেছিলেন, নারী ইউএনও গার্ড অব অনার দিতে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। নারীরা তো জানাজায় থাকতে পারেন না।

আজকের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে, ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত তালিকায় ‘গার্ড অব অনারে নারী কর্মকর্তা’ বাদ দেওয়ার সুপারিশটি নেই। তবে ওই বিষয়টি কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম যে আগের বৈঠকে তুলেছিলেন কার্যবিবরণীতে সেটি উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ওই ধরনের সুপারিশ থেকে সরে এসেছি। সেদিন আসলে এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল।

এদিকে বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কল্যাণ ট্রাস্টের জমিজমা সংক্রান্ত কাগজপত্র হালনাগাদের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্যাদি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হবে। এছাড়া জেলা অথবা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অফিস নিচতলায় স্থাপন করার লক্ষ্যে বিদ্যমান দোকান স্থানান্তরের সুপারিশও করা হয়।

কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং এ কে এম রহমাতুল্লাহ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.