পরীমণিদের সঙ্গে কাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল খতিয়ে দেখছে সিআইডি

ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণিসহ আটক কয়েকজনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে যে গুঞ্জন রয়েছে সে বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আজ রোববার (০৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।

মাদকের সাম্প্রতিক সাতটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব শুক্রবার হাতে পাওয়ার পর পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, মরিয়ম আক্তার মৌ, চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে এরই মধ্যে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এ বিষয়ে সিআইডি অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরীমণিসহ গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ব্যাংকের এমন কিছু কর্মকর্তার নাম গণমাধ্যমে আসছে- এগুলো যাচাই করা হচ্ছে।

শেখ ওমর ফারুক বলেন, আমরা তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পেশার অনেকের নাম পেয়েছি। কেউ শত্রুতাবশতও দিতে পারে। সিআইডি এগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে। কোনো নিরীহ মানুষ যেন দোষী না হয় সিআইডি এটা দেখছে।

তদন্তভার পেয়ে এই চার আসামি ছাড়াও হেলেনা জাহাঙ্গীর ও শরিফুল হাসান মিশুর বাসায় শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একযোগে তল্লাশি চলে।

ওমর ফারুক বলেন, এসব বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস, পাসপোর্ট, মোবাইল, ল্যাপটপ এবং পরীমণির বাসা থেকে একটি ফেরারি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, পরীমণি ও পিয়াসাদের দ্বারা ব্ল্যাকমেইলের কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের সহযোগী এবং ব্লাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন এমন কিছু নাম পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি।

তবে পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে নাম আসা গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যেসব মামলার দায়িত্ব পেয়েছি, সেগুলো মাদক সংক্রান্ত। তদন্তে অন্য বিষয়ে তথ্য বা অভিযোগ আসলে বা থেকে থাকলেও আমরা আমলে নেব।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.