বর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ের পরদিনই কনের তালাক

এক পক্ষ অন্য পক্ষের সম্পর্কে জানলেন। নিলেন এলাকায় খোঁজখবর। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে বিয়ের দিন-তারিখও নির্ধারণ হয়। রাষ্ট্রীয় আইন ও ইসলামী রেওয়াজ অনুসারে বিয়েও হয়েছে। কিন্তু সে বিয়ে টিকলো না একদিনও। বরকে তালাক দিলেন কনে।

এমন ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামে। শুক্রবার বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এর আগে বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) বিকেলে কবুল বলে তারা বিয়ে করেছিলেন। কনে ও তার পরিবারের ভাষ্য, বর মো. হাসান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এই তথ্য গোপন করে বর পক্ষের লোকজন প্রতারণা করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, তেওয়ারীগঞ্জের চর মটুয়া গ্রামের মনা চৌকিদার বাড়ির কৃষক মনির আহমেদের মেয়ে নাইমারল আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর এলাকার হাসানের বিয়ের কথা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৫ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। দুপুরের খাবার শেষে দুই লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয়। এরপরই কনে জানতে পারেন- বর চোখে দেখেন না। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কানাঘুষা চলে।

এ নিয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। বৈঠকে বিয়ে বিচ্ছেদ এবং খরচ বাবদ বর পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে বর ও কনে পক্ষের লোকজন কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. সফি উল্যাহ বলেন, ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বিষয়টি কনে ও তার পরিবার জানতেন না। পরে বৈঠকে বিয়ে বিচ্ছেদ ও জরিমানা করা হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.