গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তবে হামলার ঘটনায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলো এজেন্সি।

শনিবার (৭ আগস্ট) এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, গাজার যেখান থেকে হামাস রকেট হামলা চালায় সেখানে এবং তাদের একটি ভবনে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ছাড়া হতাহত হওয়ার কোনো খবরও নিশ্চিত করেনি ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

নিউ প্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেইত হানোন এবং জাবালিয়াসহ তিন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিনভর ফিলিস্তিন থেকে বেলুন ছোড়া হয়েছে। এর জবাবেই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা বলছে, গতকাল শুক্রবারের (৬ আগস্ট) বেলুন হামলার কারণটি ছিল ভিন্ন। ইসরায়েলের সেনারা গাজা সীমান্তে গুলি চালিয়েছিল। এর জবাবে বেলুন হামলা করা হয়।

এর আগে গত ২১ মে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ১১ দিনের সংঘাত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। দু’পক্ষের সংঘাতে গাজায় ২৫৬ ফিলিস্তিন নিহত হন। অপরদিকে ইসরায়েলে নিহত হয় ১৩ জন। গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালানোয় ইসরায়েলের বিরেদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে আন্তর্জাতিক মানবধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটি গাজায় গত ১০ মে থেকে টানা ১১ দিনের হামলার মধ্যে তিনটি হামলা নিয়ে তদন্ত করে। তদন্তে গত ১৬ মে চালানো বিমান হামলাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়। ওই হামলায় তিনটি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হয় ১৮ শিশু, ১৪ নারীসহ অন্তত ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.