পরীমণির অবৈধ কাজে জড়িতদের নাম পেয়েছি: হারুন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির অবৈধ কাজের সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।

তিনি বলেন, পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতো, সেগুলো কাদেরকে নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেফতার করা হবে।

আজ শুক্রবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে হারুন-অর-রশিদ বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

পরীমণির অন্যতম সহযোগী জিমিকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে আটক করা হয়। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব। পরদিন বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব জানায়, পরীমণির বাসায় একটা মিনি বার ছিল। তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিতো নজরুল ইসলাম রাজ। রাজের নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট ছিল, যাদের কাজই হলো উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে নানারকম অপকর্ম করানো। পরীমণিকে আটকের আগেরদিন মঙ্গলবার মিশুক ও জিসান নামে দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীমণি ও রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয়।

পরীমণি ও রাজসহ গ্রেফতার চারজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকের দুটি মামলা করা হয়। মামলা দুটিতে চার আসামি ৪ দিন করে রিমান্ডে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে পরীমণি ও রাজকে রিমান্ডে পাঠান আদালত।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.