আশুলিয়ায় গ্যাস সংকট, শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত

ঢাকার উত্তর অংশসহ আশুলিয়া-সাভারে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস সংকটের কারণে আশুলিয়া-সাভার এলাকায় শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জ্বলছে না রান্নার চুলা।

আজ সোমবার (০২ আগস্ট) এসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিবিয়ানা আর জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের সংস্কার কাজের জন্য গ্যাস সরবারহ কমে গেছে। এতে লাইনে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সাভার-আশুলিয়া শিল্প এলাকায় গ্যাসের চাপ কিছুটা কম। তবে এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সূত্র জানিয়েছে, দৈনিক চাহিদা ২২০ কোটি ঘনফুট থাকলেও তিতাস গ্যাস পায় ১৭০ কোটি ঘনফুট। কিন্তু সোমবার তা নেমে এসেছে ১২০ কোটি ঘনফুটে। ফলে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।

আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকেই গ্যাসের স্বল্পতার কারণে বয়লার চালু করা যায়নি। ফলে শ্রমিকেরা কাজে এলেও তারা বসে আছেন।

জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ জানান, দুটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকায় গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি আজকের মধ্যে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন।

তবে তিতাসের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিবিয়ানা জালালাবাদের উৎপাদন ব্যাহত হবে। গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় ঢাকার উত্তর অংশ, আশুলিয়া, সাভারে গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জরুরি রফতানি কাজের জন্য লকডাউনের মধ্যে ও বিশেষ বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। এখন যদি গ্যাসের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং সময় মতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া না যায় তাহলে কোটি কোটি ডলারের রফতানি আদেশ বাতিল হয়ে যাবে। তারা দ্রুত গ্যাস সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.