টাইব্রেকারে হেরে অলিম্পিক থেকে দিয়ার বিদায়

রোমান সানার পর অলিম্পিক অভিযান শেষ হয়ে গেল দিয়া সিদ্দিকীর। মেয়েদের রিকার্ভ এককে প্রথম রাউন্ডে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিয়াকে স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচের টাইব্রেকে ৬-৫ সেট পয়েন্টে হারিয়েছেন বেলারুশের কারিনা দিওমিনসকায়া।

প্রথম সেটের তিন শটে দিয়া মেরেছেন যথাক্রমে ৬, ৯, ৮ (২৩)। বিপরীতে প্রথম সেটে কারিনা ৪ মেরে শুরু করলেও পরের দুটি তিরে মারেন ৯, ৯। মোট ২২ পয়েন্ট হয় কারিনার। জয় দিয়ে প্রথম সেট শুরু করেন দিয়া।

পরের দুই সেটে সমান স্কোর হলে জমে ওঠে খেলা। চতুর্থ সেট হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয় দিয়ার। শেষ রাউন্ড জিতে আবার ফিরে আসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। নির্ধারিত প্রথম ৫ সেট শেষ হয় ৫-৫ সেট পয়েন্টে।

শেষ পর্যন্ত শ্যুট অফে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে দিয়াকে। শ্যুট অফে ৬-৫ সেট পয়েন্টে হেরে যান বাংলাদেশের এই আরচার। প্রতিপক্ষ ১০ স্কোর করলেও দিয়া করেন ৯।

ম্যাচের আগে কোচ ফ্রেডরিক জানিয়েছিলেন, র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও দিয়া চমকে দিতে পারেন প্রতিপক্ষকে। সে কথাটাই যেন ফলে গেল। দিয়া চমকে দিলেন প্রতিপক্ষ কারিনাকে, জিতে নিলেন প্রথম সেট। তাতে প্রতিপক্ষের পা হড়কানোরও একটা ‘অবদান’ আছে বৈকি! শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হলো দিয়ার।

রোমান সানার মতো সরাসরি টোকিও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাননি দিয়া সিদ্দিকী। একেবারে শেষ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক আর্চারি ফেডারেশনের বিশেষ সুযোগে টোকিওর টিকিট পেয়েছিলেন।

কাগজে কলমে দিয়ার চেয়ে অনেক এগিয়ে কারিনা। মেয়েদের রিকার্ভের এককে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩১তম স্থানে কারিনা। কিন্তু বিশ্বে দিয়ার অবস্থান ১৫৫তম। তারপরও দিয়া যেভাবে লড়াই করলেন সেটা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.