এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জরিমানা

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় নির্মাণাধীন তিনটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ওই ভবনের মালিকদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে রূপনগর বিপণিকেন্দ্রে ১ লাখ, ১৮ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন ভবনের মালিক সেলিম দেওয়ানকে ৫০ হাজার ও ১৭ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাসার মালিক শাহ আলম মোল্লাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

যাদের জরিমানা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেনও রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) পরিচালিত অভিযানে এই জরিমানা করা হয়। ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৭ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।

রূপনগর বিপণিকেন্দ্রের নির্মাণাধীন মার্কেটে এডিস মশার লার্ভা থাকায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় সেই মার্কেটের শেয়ারে মালিক স্থানীয় ঢাকা উত্তর সিটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেনকে। সেখানে লার্ভা পাওয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর বলেন, গতকাল সোমবার আমার কার্যালয়ে থাকা ওষুধগুলো দিয়ে আমি তাদের বলেছিলাম জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেলতে। কিন্তু তারা কথা শোনেননি। তাই জরিমানা করা হয়েছে।

সেলিম দেওয়ানের নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় একটি ড্রামের জমা থাকা পানিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ কারণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিএনসিসি অঞ্চল-২–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সফিউল আজম ওই বাড়ির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বাড়ির মালিক সেলিম দেওয়ানের দাবি, ড্রামের পানি নির্মাণশ্রমিকেরা শৌচ কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। সেখানে পানি জমা হওয়া কিংবা মশা ডিম পাড়ার কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া সকালে পানি পরিষ্কার করে নতুন পানি ভরা হয়েছে।

চিরুনি অভিযান উদ্বোধনের পর ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জরিমানা করা নয়। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নগরবাসীকে সচেতন করা এবং এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা। তবে আগে সতর্ক করে দেওয়ার পরও কেউ সচেতন না হলে জরিমানা করা হচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.