শনাক্ত ও মৃত্যু কমলেও সংক্রমণ হার বেড়েছে

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে এপ্রিল মাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। মাঝে কিছুদিন শনাক্ত ও মৃত্যু কমলেও আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে। তবে আলোচ্য সময়ে সংক্রমণ হার বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ হাজার ৬১৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১২ জুলাই দেশে করোনা শনাক্ত হয় ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের, যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১১৫৭৯, ১৩৩২১, ১১৫৭৮, ৮৪৮৯, ১২১৪৮, ১২২৩৬ ও ১২৩৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৩ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৪ হাজার ৯৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার ৩০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৯ হাজার ৫১০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার করা হয়েছে ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৮ জনের। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

আজ বুধবার (২১ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ৭৬১৪ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ১১৩৬৫০৩ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ১৭৩ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ১৮৪৯৮ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ৯৭০৪ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ৯৬১০৪৪ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭৩ জন মারা গেছেন। সোমবার (১৯ জুলাই) দেশে করোনায় ২৩১ জনের মৃত্যু হয়, যা একদিনে এযাবৎ কালের সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ১১ জুলাই করোনায় মারা যান ২৩০ জন।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ২০০, ২৩১, ২২৫, ২০৪, ১৮৭, ২২৬ ও ২১০ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৯৮ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯ হাজার ৭০৪ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৬১ হাজার ৪৪ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.