চীনে আকস্মিক বন্যায় ১২ জনের মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত হাজারো মানুষ

প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় চীনে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে।

আজ বুধবার (২১ জুলাই) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে হেনান প্রদেশের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঝেংঝু শহরে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের প্রায় এক ডজনেরও বেশি শহর তলিয়ে গেছে। এমনকি শহরগুলোর প্রধান প্রধান সড়কও বন্ধ হয়ে গেছে। স্টেশন তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি শহরগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনাও বন্ধ রয়েছে।

প্রায় ৯৪ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল হেনান প্রদেশটি অস্বাভাবিকভাবে তলিয়ে গেছে। এরপরও বৃষ্টি থেমে নেই। সর্বোচ্চ স্তরের বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

বহু কারণ রয়েছে এ বন্যার। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হওয়াকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, চীনের একটি সাবওয়ে ট্রেনে বন্যার পানি ঢুকে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার এই যাত্রীরা মধ্যাঞ্চলীয় হেনান প্রদেশের ঝেংঝু যাচ্ছিলেন। পথে ক্রমশ বাড়তে থাকা বন্যার পানিতে ট্রেনটিসহ যাত্রীরা আটকা পড়েন।

সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিগুলোতে দেখা গেছে, পুরো রাস্তা তলিয়ে গেছে। গাড়ি ও ধ্বংসাবশেষ দ্রুত চলমান বন্যার পানিতে যেন বয়ে চলছে।

এদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হেনান প্রদেশের একটি বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি বাঁধটি ধসে যায়, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লুয়াং শহরের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই ওই জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পরে সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যেকোনো সময় বাঁধটি ধসে পড়তে পারে।

গত দুই সপ্তাহ জুড়ে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে আকস্মিক বন্যায় নিহত হয়েছে তিনশ’র বেশি মানুষ, বিধ্বস্ত হয়েছে বহু স্থাপনা।

সূত্র: বিবিসি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.