সড়কেই ঈদ তাদের

পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঘরমুখী অনেকেই এখনও যানজটে পড়ে মহাসড়কেই রয়েছেন। ফলে শত শত মানুষকে ঈদ করতে হবে মহাসড়কেই।

আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কালিহাতীর পুংলি পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশে যানজট ছিল। এছাড়া ধীরগতি রয়েছে আরও ২০ কিলোমিটারজুড়ে। এ কারণে শত শত মানুষের ঈদ কাটছে রাস্তায় যানবাহনের মধ্যে।

একই অবস্থা পাটুরিয়া ঘাটেও। সেখানেও পারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ যানবাহন। এসব যানবাহনে শত শত ঘরমুখো মানুষ আটকে রয়েছেন।

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা ঘরমুখো মানুষ ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা রয়েই গেছে। যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি অনেক বেশি হচ্ছে।

এর আগে সোমবার রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সারা দিন ছিল ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট। মহাসড়কের রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। গণপরিবহণ চললেও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকের উপরে করে যাতায়াত করছেন।

ফরিদ হোসেন নামে এক বাসযাত্রী বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে গাজীপুর থেকে নওগাঁর উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। বুধবার সকাল সোয়া ৬টা পর্যন্ত সেতু পার হতে পারিনি। ঈদ করতে হচ্ছে রাস্তায়।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে ভোর থেকে গাড়ির চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হতে পারে।

যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি অনেক বেশি হচ্ছে। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

জেলা পুলিশ বিভাগ সূত্র জানায়, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ৬০৩ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.