কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবস্থাপনা তদারকির জন্য সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনটি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার (১৯ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতা পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ অন্যান্য স্থানে সংরক্ষিত কাঁচা চামড়ায় যথাসময়ে প্রয়োজনীয় লবণ প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ; বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে শহরগুলোতে চামড়া ক্রয়ের আড়ত বা স্থানের পরিস্থিতি মনিটরিং করা; সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে লবণেরর সররাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখা; বিশেষ পরিস্থিতিতে উদ্বৃত্ত কাঁচা চামড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে সংরক্ষণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা উপযুক্ত কোনো স্থান ব্যবহার করা; লবণের পরিবহণ নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা; পচন রোধে কোরবানির দিন থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাঁচা চামড়া যাতে রাজধানী অভিমুখে পরিবহণ না করা হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা ইত্যাদি নিশ্চিত করার জন্য সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সিটি এলাকায় গঠিত কমিটিতে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব যথাক্রমে সভাপতি ও সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির সদস্যরা হলেন— বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, ডিআইজি সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ-এর প্রতিনিধি, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)-এর প্রতিনিধি, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের পক্ষে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ-এর প্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআই’র সভাপতির প্রতিনিধি।

জেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। কমিটির সদস্যরা হলেন—জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রাণিসম্পদ কতর্মকর্তা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলার বিসিক-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কম্যান্ডেন্ট-এর প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার মেয়রের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং জেলা চামড়া ব্যবসায়ী বা আড়তদার সমিতির সভাপতি।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটির সভাপতি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির সদস্যেরা হলেন—উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, বিসিক-এর কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ী বা আড়তদার সমিতির সভাপতি।

এসব কমিটি পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রয়োজনীয় চামড়া ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কন্ট্রোল সেল স্থাপন করবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.