ডা. জাফরুল্লাহকে ছাত্রদল নেতার ধমক, বিএনপির শরিক দল বিক্ষুব্ধ

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গেল শনিবার একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন সভায় উপস্থিত থাকা ছাত্রদলের নেতারা। ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা জিজ্ঞাসা করেন, আপনি বিএনপির কে? বিএনপি নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১০ বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৬ জুন প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিএনপির বিদেশে অবস্থানকারী নেতা-মুখাপেক্ষী নির্দেশ ও দুর্বল নেতৃত্ব সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্য রাখার সময় ছাত্রদলের একজন নেতা কয়েকজন সঙ্গীসহ বাধা প্রদান করে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি-ধামকি দেন। আমরা ছাত্রদলের এসব নেতাদের এহেন আচরণ ও একজন রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি প্রদানে গভীরভাবে উদ্বীগ্ন এবং বিক্ষুদ্ধ।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা উল্লেখ করতে চাই ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি তা আজ দুঃস্বপ্ন। আজকের দুর্বিসহ অবস্থার প্রেক্ষিতে যেখানে জনগণের দাবি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা সেখানে বিএনপির এসব নেতার এহেন আচরণে তা বাধাগ্রস্ত হবে।

বিবৃতি দেওয়া ১০ বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেন- মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ফারুক-ই-অযম বীর প্রতীক, ইশতিয়াক আজিজ উলফত, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাহাঙ্গীর কবীর, অ্যাডভোকেট সুলতান আলম মল্লিক, এম এ শহীদ, হাবিবুর রহমান, আবুল বাশার ও অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।

বিবৃতি দেওয়া মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান। আর ইশতিয়াক আজিজ উলফত বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.