বাজার নিয়ে আশংকার কোনো কারণ নেইঃ বিএমবিএ সভাপতি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধমুখী ধারা ঠেকাতে সোমবার (২৭ জুন) শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী লকডাউন। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত লকডাউন চলবে সীমিত পরিসরে। আর বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭ দিন থাকবে সর্বাত্মক লকডাউন।

এই লকডাউনকে কেন্দ্র করে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পুঁজিবাজার। রোববার দিনের শুরু থেকেই মূল্যসূচকে শুরু হয় নিম্নমুখী ধারা। লকডাউনে পুঁজিবাজার চালু থাকবে কি-না তা নিয়ে উদ্বেগের প্রভাব পড়েছে বাজারে। যদিও শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নিশ্চিত করা হয়েছে, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে বুধবার পর্যন্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে। অন্যদিকে সর্বাত্মক লকডাউনে যেসব জরুরি পরিষেবা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে তার মধ্যে ব্যাংক সেবাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। আর ব্যাংক খোলা থাকলে যে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে তা একাধিকবার নিশ্চিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সব মিলিয়ে লকডাউনে যে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে তা মোটামুটি নিশ্চিত।

পুঁজিবাজারের অস্থিরতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান অর্থসূচককে বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আশংকা অর্থহীন। কারণ লকডাউনে পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার কোনো আশংকা নেই। ব্যাংকিং একটি জরুরি সার্ভিস। লকডাউনে সীমিত পরিসরে হলেও ব্যাংকিং সার্ভিস খোলা থাকবে। আর ব্যাংক খোলা থাকলে যে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে তা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাফক শিবলি রুবাইয়াত-উল-ইসলাম একাধিকবার নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি বছর একাধিক দফায় আমরা লকডাউনের ভেতর দিয়ে গিয়েছি। আর প্রতিটি লকডাউনে পুঁজিবাজার খোলা ছিল। শুধু তা-ই নয়, এ সময়ে গত বছরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লেনদেন হয়েছে বাজারে। অর্থাৎ লকডাউনে পুঁজিবাজার সফলভাবে পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।

বিএমবিএ সভাপতি আরও বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে অন্য কোনো আশংকা করাও ঠিক নয়। কারণ করোনার মধ্যে শুধু বাংলাদেশের বাজার নয়, বিশ্বের সব পুঁজিবাজার উর্ধমুখী। প্রতিবেশি ভারতের বাজারে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। তাই করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি বা লকডাউন-কোনো কিছুরই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশকা নেই বাজারে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.