করোনা ঠেকাতে বিচ্ছিন্ন থাকবে দোহার ও নবাবগঞ্জ

দেশের অনেক এলাকার মতো ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনা পরিস্থিতির তীব্র অবনতি হয়েছে। এই দুই উপজেলায় পরীক্ষার বিপরীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের হার ৪০ শতাংশে উঠে গেছে। এই অবস্থায় উপজেলা দুটির করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সাথে অন্যান্য উপজেলা ও জেলার নৌ ও স্থলপথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত উপজেলা দুটিকে অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ঢাকা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ নুর আলী, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, ঢাকার সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হোসেন মোহাম্মদ মইনুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গৃহীত অন্য সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-

# করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী হাসপাতালের বাইরে অবস্থান করলে তা লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা।

# সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা।

# বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা।

# খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা। রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে খাবার পরিবেশন।

# বিয়ে, জন্মদিন ও পিকনিকসহ জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক ও ধর্মীয় আচার বন্ধ রাখা।

# সকল পর্যটনকেন্দ্র ও রিসোর্ট বন্ধ রাখা।

এসব সিদ্ধান্ত আপাততঃ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পরে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.