ঢাকা ঘিরে লকডাউনে গণপরিবহণ সংকট, দুর্ভোগ নগরবাসীর

রাজধানী ঢাকার আশেপাশের সাত জেলা লকডাউনের কারণে রাজধানীতে বন্ধ বাইরের বাসের প্রবেশ। এজন্য সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কমেছে। তাই বাসের জন্য যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এতে বিপাকে পড়েন অফিসগামীরা। এ ছাড়া যারা জরুরি প্রয়োজনে বেরিয়েছেন, তাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আজ বুধবার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি।

উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় সকাল ৮টায় বাসের অপেক্ষায় যাত্রীদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেকে বাসে উঠতে পারেননি। অনেকক্ষণ পর পর যাও একটা বাস আসছে, তাদের উঠতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে অফিসগামীদের। যারা বাসে উঠার সুযোগ পেয়েছেন, তারা অনেকে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সিটের দ্বিগুণেরও বেশি যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে কোনো কোনো বাসে।

আবার অনেকে দীর্ঘ সময় বাস না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন। এ ছাড়া আবদুল্লাহপুর পয়েন্টে বাস ঘুরিয়ে দেওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বনানী, মালিবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় খোঁজ নিয়ে বাস সংকটের খবর পাওয়া গেছে।

আন্তঃজেলার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের কেবল রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার প্রতি দুই সিটে বসছেন একজন করে। ফলে যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই একটি বাস থামলেই তাতে হুড়োহুড়ি করে উঠতে দেখা যায় যাত্রীদের। এমন অবস্থায় বেশি সমস্যায় পড়েন চাকরিজীবী নারী ও অসুস্থরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুরসহ মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ফলে এসব এলাকার কোনো গণপরিবহণ ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.