ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ: একই পরিবারের ৫ জন নিহত

নরসিংদী সদর উপজেলায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই শিশুসহ মাইক্রোবাসের অন্তত পাঁচ যাত্রী নিহত ও সাত যাত্রী আহত হয়েছেন। হতাহতদের সবার বাড়ি ঢাকার আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় ও তারা পরস্পরের আত্মীয়।

শনিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘোড়াশাল-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের মাধবদী থানার পাঁচদোনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মুক্তি আক্তার (৩০) ও তার ছেলে সাদিকুল (৮), রুবি আক্তার (৪০) ও তার মেয়ে রাহিমা (৩) এবং রোকেয়া আক্তার (৫২)।

আহতরা হলেন- সাইমা (১২), ইসরাত জাহান (৮), সামসুন্নাহার (৬০), শারমিন (৩৫), রাজিয়া (৪০), আ. রশিদ (৪০) এবং কাজীমুদ্দীন (৫২)। তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও আহতরা জানান, শনিবার সকালে ১৪ জন একটি হায়েস মাইক্রোবাস যোগে আব্দুর রশিদ ও তার পরিবাসের সদস্যরা সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকা থেকে সিলেটে মাজার জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারত করে জাফলং বেড়াতে যান তারা। সেখান থেকে আশুলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন।

তারা জানান, মাইক্রোবাসটি পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কের নরসিংদীর সাকুরা মোড়ে পৌঁছালে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে রুবি আক্তার ও তার মেয়ে রাইমার মৃত্যু হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে কাদির মিয়ার স্ত্রী সামসুননাহার মারা যান।

এদিকে দুর্ঘটনার পর পর পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল-টঙ্গী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলোকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। পরে রাস্তায় আরও দুজন মারা যায়। ইতোমধ্যে ট্রাক জব্দ করেছি। বিস্তারিত তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.