আইসিএবির অডিটিং সফটওয়্যারে কাগজবিহীন নিরীক্ষা যুগের সূচনা

ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে পেশাগত কারণে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদেরকে নিরীক্ষার সর্বাধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত থাকতে হয়। এজন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের দক্ষতা অর্জন অত্যাবশ্যক। প্রযুক্তি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে নিরীক্ষার সর্বোত্তম মান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

‘ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড ডিসিমিনেশন অব অডিট প্রাকটিস সফটওয়্যার ফর সিএ ফার্মস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্স অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) অডিট প্রাকটিস সফটওয়্যারের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রোববার (১৩ জুন)। অনুষ্ঠানে বক্তারা নিরীক্ষা কর্যক্রমে প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে এসব কথা বলেন। তাদের মতে, ডিজিটাল ব্যবস্থার আত্মীকরণ নিরীক্ষা মানোন্নয়ন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং সময় ও ভুল কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদউল হাসান খসরু এফসিএ। অডিট সফটওয়্যারের গুরুত্ব তুলে বক্তব্য রাখেন আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড ডিসিমিনেশন অব অডিট প্রাকটিস সফটওয়্যার ফর সিএ ফার্মস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের চেয়ারম্যান মারিয়া হাওলাদার এফসিএ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল কাদের জোয়াদ্দার এফসিএ এবং সিইও শুভাশীষ বসু।

জুমের মাধ্যমে অডিট প্রাকটিস সফটওয়্যার: কেইসওয়্যার ওয়ার্কিং পেপার নিয়ে লাইভ সেশন পরিচালনা করেন কেইসওয়্যার এশিয়া পিটিএ লিমিটেডের প্রোডাক্ট স্পেশালিস্ট কেন চ্যান।

কেইসওয়্যার ওয়ার্কিং পেপারস এবং অডিট ইন্টারন্যাশনাল ক্লাউড সফটওয়্যার সাধারণ নিরীক্ষা থেকে শুরু করে লিস্টেড কোম্পানির অডিট এবং সব ধরনের অডিট সিনারিওসহ বিভিন্ন ধরনের অডিট অন্তর্ভূক্ত। ফাইল এবং সফটওয়্যার লোকাল কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকায় ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও সংশ্লিষ্ট ফাইল ব্যবহার করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বা পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে নিরীক্ষা মূল সার্ভারে আপটেড করে নেয়া যাবে এই সফটৃ ওয়্যারের মাধ্যমে।

এই সফটওয়্যার স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা জোরদার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রমকে সহজতর করা এবং নিরীক্ষা মানের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে আরো ভূমিকা রাখবে। সূচনা পর্বে ৫৬টি অডিটিং ফার্ম এই সফটওয়্যার আত্মীকরণ করবে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য ফার্মগুলোও এর ব্যবহার শুরু করবে। আইসিএবি সফটওয়্যার ভিত্তিক অডিটিং এ উৎসাহ দিবে।

আইসিএবি প্রেসিডেন্ট মাহমুদউল হাসান খসরু এফসিএ বলেন, বিশ্বজুড়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং পেশাজীবীরা অডিট প্রাকটিস সফটওয়্যারে দক্ষতা অর্জন করছে। বাংলাদেশের এর একীভূতকরণ করছে। এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, অডিট প্রাকটিসের ডিজিলাইজেশন নিরীক্ষার যথাযথ মান নিশ্চিতের পাশাপাশি স্বচ্ছতা আনয়ন এবং গ্রাহকের আস্থা জোরদারে ভূমিকা রাখবে।

২০২১ সালকে আইসিএবির অটোমেশন বর্ষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অডিট রিপোর্ট মনিটরিং, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বোর্ডের কার্যক্রম এবং ফার্ম পরিদর্শনসহ ইনস্টিটিউটের সব কার্যক্রম অটোমেশন করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

মারিয়া হাওলাদার এফসিএ বলেন, এই সফটওয়্যার ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অন অডিটিং (আইএসএ) অনুযায়ী নিরীক্ষার মান নিশ্চিতে আইসিএবি সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এই সফটওয়্যার নিঃসন্দেহে নিরীক্ষা নথি সংরক্ষণের জটিলতা থেকে মুক্তি দেবে এবং নিরীক্ষার সময় কমিয়ে আনবে, যা ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে।

অনুষ্ঠানে আরো অংশ নেন আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ফারুক এফসিএ, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ বড়ুয়া এফসিএ, মো. আব্দুল কাদের জোয়াদ্দার এফসিএ, কাউন্সিল মেম্বার মো. মনিরুজ্জামান এফসিএ, মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীণ এফসিএ প্রমুখ।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.