কাদের মির্জার নেতৃত্বে বাদলের ওপর হামলার অভিযোগ, গাড়ি ভাঙচুর

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের (৫০) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর বসুরহাটে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আজ শনিবার (১২ জুন) সকাল ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারে প্রধান সড়কের ইসলামী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় হামলাকারীরা বাদলের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও তার সাথে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা হাসিবুল হোসেন আলালকেও জখম করে। হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে কাদের মির্জার বিরোধী মিছিল করছে বাদল অনুসারীরা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রওনা করেন। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেস ক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০ জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, খান, শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০ জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতিরোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা প্রথমে তার গাড়ির পিছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা পাটিয়ে দেয়, পা ও বুকের হাড় ভেঙে দেয় এবং কানে গুরুতর জখম করে।

বাদলের সফর সঙ্গী আওয়ামী লীগ নেতা আলাল জানান, চাপরাশিরহাট বাজার থেকে সকাল ৯টার দিকে আমরা দুই জন বসুরহাট হয়ে গাড়িতে করে ঢাকা যাচ্ছিলাম। যাত্রা পথে আমাদের গাড়িটি বসুরহাট বাজারের প্রেস ক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে কাদের মির্জা নেতৃত্বে তার অনুসারীরা গাড়ির গতিরোধ করে প্রথমে গাড়ির পিছনে গুলি করে। একপর্যায়ে বাদলসহ আমাকে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে বুকের হাড়, হাত-পা ভেঙে মাথা ফাটিয়ে দেয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. জোবায়ের জানান, হামলায় বাদলের বুক, হাত, পা, মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, গাড়ি ভাঙচুরসহ মিজানুর রহমান বাদল ও হাসিব আহসান আলালকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ইতোমধ্যে একজন সাংবাদিকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.