টিকার মূল্য প্রকাশে বিরক্ত চীন, কিনতে হতে পারে ৩ গুণ দামে

বাংলাদেশে সিনোফার্মের টিকার বিক্রয়মূল্য প্রকাশ হওয়ায় চীন কিছুটা বিরক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। চীন ও বাংলাদেশ একটি চুক্তিতে সই করেছিল, যেখানে টিকার বিক্রয়মূল্য প্রকাশ করা হবে না বলে শর্ত ছিল।

শুক্রবার (০৪ জুন) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তবে, এ ঘটনায় আমাদের অবস্থান বেশ খানিকটা খারাপ হয়েছে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে সরকার আর ওই দামে টিকা কিনতে পারবে না।

ড. মোমেন বলেন, তারা অন্য দেশে যে দামে টিকা বিক্রি করে, সে দামেই কিনতে হবে। তা দ্বিগুণ বা তিন গুণ হতে পারে।

গত ২৭ মে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চীন থেকে সিনোফার্মের করোনা টিকার দেড় কোটি ডোজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। সরকার এই টিকার প্রতি ডোজ ১০ ডলারে কিনতে যাচ্ছে বলে বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান যে, ওই দাম এখনো অনুমোদন পায়নি।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) ঢাকায় চীনা দূতাবাসকে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম যে, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে জনসমক্ষে দাম প্রকাশ করিনি। তবে, কোনোভাবে তা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা তাদের চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, তারা এখনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

অধ্যাপক খুরশিদ আলম বলেন, চীন প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন শ্রীলঙ্কার কাছে ১৪ ডলার ও ইন্দোনেশিয়ার কাছে ১৭ ডলারে বিক্রি করছে।

বাংলাদেশে সিনোফার্মের বিক্রয়মূল্য জানার পর, সেসব দেশ চীনকে কম দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে চাপ দিচ্ছে। তারা (চীন) আমাদের ওপর বেশ বিরক্ত হয়েছে, যোগ করেন তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.